Logo

সত্যিকারের রাজনীতি
আধিপত্য নয়,
ভোগবিলাস নয়, মানুষের
উপর অত্যাচার নয় —
এটি মানুষের কল্যাণে
সেবার নাম।

আমার পরিকল্পনা

ভৌগোলিক আয়তনের দিক থেকে ক্ষুদ্র হলেও জনসংখ্যার হারে পৃথিবীর ৯ম বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর দেশ বাংলাদেশ। দেশের সব অঞ্চলের নাগরিকদের সমান উন্নয়নের পাশাপাশি মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করা রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। সম্প্রতি পাবনা জেলার মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি-দাওয়া বিভিন্ন ফোরামে উঠে এসেছে। এ সকল দাবি-দাওয়া ও সংকট সমাধানকল্পে জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এবং গণমানুষের প্রত্যাশাকে গুরুত্ব দিয়ে এই প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে। এই প্রস্তাবনা সকল পক্ষের মতামত নিয়ে ভবিষ্যত প্রয়োজন অনুযায়ী সংযোজন-বিয়োজন ও সংশোধন আনব।

রাজধানী ঢাকার সঙ্গে যোগাযোগ উন্নত এবং সহজ করতে ফেরিঘাট, সেতু ও এক্সপ্রেস ট্রেন চালু করা হবে। শহর–গ্রাম–উপজেলা সংযোগ সড়ক চার লেনে সম্প্রসারণ ও সড়ক সংস্কার দেওয়ায় ব্যবস্থা করা হবে।

মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় চালু ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হবে। টেক্সটাইল কলেজের অবকাঠামো উন্নত করা হবে এবং মাদ্রাসায় কারিগরি শিক্ষা চালু হবে।

বন্ধ মিল-কারখানা পুনরায় চালু ও ক্ষুদ্র শিল্পে সহজ ঋণ প্রদান করা হবে। তাঁত ও হোসিয়ারি শিল্পে প্রণোদনা, অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প সম্প্রসারণ ও কর্মসংস্থানে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হবে।

পাবনা সদর হাসপাতালে শয্যা বৃদ্ধি এবং মেডিকেল কলেজে আলাদা শয্যা নির্মাণ করা হবে। উপজেলা পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা উন্নত করা হবে, কিডনি ডায়ালাইসিস ও ক্যান্সার চিকিৎসা চালু হবে এবং মানসিক হাসপাতাল আধুনিকায়ন করা হবে।

পদ্মা–যমুনায় পানি সংরক্ষণ ব্যারেজ নির্মাণ ও নদীভাঙন মোকাবিলা করা হবে। ইছামতি নদী প্রকল্প বাস্তবায়ন, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ, সৌরশক্তি নির্ভর সেচ ও বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ব্যবস্থা করা হবে।

কৃষিপণ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ ও কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা হবে। কৃষি-ভিত্তিক শিল্প প্রতিষ্ঠা ও দুধ–দুগ্ধজাত পণ্যের বাজারজাতকরণ সহজ করা হবে।

যুবকদের জন্য সমবায় ভিত্তিক উদ্যোগ ও কর্মসংস্থান প্রকল্প নেওয়া হবে। মৎস্য, হাঁস–মুরগি ও গবাদিপশু পালনে উৎসাহ ও ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হবে এবং খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে।

নারীর কর্মসংস্থান ও মাতৃস্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রম চালু হবে। স্কুল–কলেজে নিরাপদ পরিবেশ এবং শিশুদের শিক্ষা ও সুরক্ষা কার্যক্রম জোরদার করা হবে।

সরকারি সেবা ডিজিটালাইজেশন ও আইসিটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। স্টার্টআপ সহায়তা, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যুবকদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

প্রেস